এক মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলে খরচা ১৮ ফ্ল্যাট

এক মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলে খরচা ১৮ ফ্ল্যাট

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যেমন বহু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, আবার প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও সরকারঘনিষ্ঠদের রোষে পড়ে ‘ভুয়া’ হয়ে গেছেন। তবে সব ছাপিয়ে তুঘলকি কাণ্ডটি ঘটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৭ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৭ কিলোমিটার যানজট
সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রেস সচিব
সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রেস সচিব
লন্ডন যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা
লন্ডন যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা
খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাড়ির কাগজ পৌঁছে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাড়ির কাগজ পৌঁছে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
মসলার দামে স্বস্তি এবার
মসলার দামে স্বস্তি এবার
  • মহিউদ্দিন খান মোহন
    মহিউদ্দিন খান মোহনসাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

    বিভেদের জোয়ার, ঐক্যে ভাটা

    জাতি হিসেবে আমাদের একটি বড় দুর্ভাগ্য, গড়ে ওঠা ঐক্য আমরা বেশি দিন ধরে রাখতে পারি না। আর সে ধরে রাখতে না পারার দায় কারও একার নয়। রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সংকীর্ণতা ও ক্ষমতালিপ্সা গড়ে ওঠা ঐক্যকে কখনো নড়বড়ে করেছে, কখনো সমূলে বিনষ্ট করেছে। আমাদের সবচেয়ে বৃহৎ ও মজবুত ঐক্য গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সে গণঐক্যে ফাটল ধরেছিল স্বাধীনতার পরপরই। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ যে তত্ত্বকে সামনে এনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তারা পাকিস্তান সরকারের এলএফওর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার) অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ভিত্তি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন করে। যদিও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী
    মেজর (অব.) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ
    মেজর (অব.) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদগবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

    গরু-ছাগল নিয়ে গদ্য

    মানুষের সবচেয়ে বেশি উপকার করা পশুর অন্যতম গরু। বাংলা পড়াতে গিয়ে বাল্যকালে গরুর রচনা লিখতে দিতেন পাঠশালার গুরু ও শিক্ষকরা। কারও কারও জীবনে গরু দিয়েই রচনা লেখার শুরু। সেখানে গরুর উপকারের কথা লিখতে কেউ ছিল না ভীরু। অথচ এ ছাত্রছাত্রীরা বড় হলে তাদের মধ্যে নানা রূপক অর্থে গরু নিয়ে রং-তামাশা হয় শুরু। কোরবানির আগে ‘বিরাট গরু ছাগলের হাট’ লেখা ব্যানার দেখে অভ্যস্ত অভিজ্ঞজনের চোখ। অথচ ইদানীং শোনা যায় এখানেও নাকি মাঝারি ও ছোট গরু-ছাগলরা বৈষম্যের শিকার। বাজারে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু-ছাগলের সংখ্যা বেশি হলেও কেন লেখা হবে ‘বিরাট গরু-ছাগলের হাট’? আসলেই তো! হাটে সাজানো সব গরু-ছাগল তো বিরাট নয়। তাহলে বিরাট গরু-ছাগলের
    ড. কবিরুল বাশার
    ড. কবিরুল বাশারঅধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

    জীবন বনাম প্লাস্টিক: টিকে থাকার লড়াই

    আমাদের সভ্যতার ইতিহাসে প্লাস্টিক একসময়ে মানবজাতির জন্য এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত ছিল। এটি ছিল সাশ্রয়ী, টেকসই ও বহুমুখী ব্যবহারের জন্য অনন্য এক উপাদান। কিন্তু এই উপকারী আবিষ্কারই এখন মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ এবং স্লোগান ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের মতো বাংলাদেশেও প্লাস্টিক দূষণ আজ এক মহাসংকট, যা শুধু পরিবেশ নয়, জীববৈচিত্র্য, জনস্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে, যার মাত্র ৯
  • মাছুদুর রহমান
    মাছুদুর রহমানব্যাংকার ও পিএইচডি গবেষক, ঢাবি

    দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে কোরবানির চামড়া

    বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহা, যা আমরা সাধারণত কোরবানির ঈদ হিসেবে অভিহিত করি, এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গরু, ছাগল, মহিষ, উট এবং দুম্বা পশু জবেহ। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কুরবানি হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা। ইসলামে হিজরি সনের ১২তম মাস জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কুরবানি করার সময় নির্ধারিত। এ দিনগুলোতে বিশ্ব মুসলিম জাহান পশু জবেহের মাধ্যমে জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ স্মরণ করেন। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মাধ্যমেই কোরবানির প্রচলন শুরু হয়, যা এক অতি প্রাচীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে

    ডিভাইস ও সিম ট্যাক্স কমানো হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে

    দেশে টেলিকম খাতের জন্য কেমন হলো এবারের বাজেট। কোথায় কোথায় নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার (সিসিআরও) সাহেদ আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এহসান আব্দুল্লাহ কালবেলা: টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য এবারের বাজেট কেমন ছিল? সাহেদ আলম: এবারের বাজেটে আমরা কিছুটা পজিটিভিটি দেখতে পেয়েছি। বেশ কিছু জিনিস আছে যেখানে টেলিযোগযোগ খাতের জন্য ভালো হবে; কিন্তু ডিভাইসে দাম কমানোর জন্য আমাদের প্রস্তাব ছিল, তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। আমাদের ডিভাইস পেনিট্রেশন না বাড়লে ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বাড়বে না। আমাদের ফোর-জি ডিভাইস পেনিট্রেশন ৫৫ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে, যার কারণে স্মার্টফোন পেনিট্রেশন না বাড়ার

    সিদ্ধযোগী বাবা লোকনাথ

    আজ যিনি পূজিত হচ্ছেন ধরাধামের আনাচে-কানাচে, সেই শিশুটি বাংলা ১১৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কচুয়াধামে। ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১২৯৭ বাংলা সালে বারদীর গোঁসাই নামে খ্যাত লোকগুরু বাবা লোকনাথ দেহ রেখেছেন বারদীতে। বারদী আজ রূপান্তরিত হয়েছে ‘মহাপীঠস্থান বারদী ধামে’। ধন্য বারদী। এরই মধ্যে আমাদের জীবনপাতা থেকে বিয়োগ হয়েছে ১৩৫টি বছর। মহাপীঠস্থান বারদীধামসহ সমগ্র বিশ্বে ১৯ জ্যৈষ্ঠ তিরোধান দিবস স্মরণে সমারোহে মঙ্গল উৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি পর্ব চলছে। প্রতিবারের মতো এবারও স্বামীবাগে বাবা লোকনাথের আশ্রম থেকে বাবার অশেষ করুণায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে স্মরণিকা ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’। শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে স্বল্পপরিসরে হলেও লোকনাথ অনুরাগী ভক্তপ্রাণ সুধী-সজ্জনমণ্ডলী তাদের চিন্তা-চেতনার অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ হয়। এই মাহেন্দ্রক্ষণের ক্ষীণতম সুযোগে যদি কিছু লেখা যায় তারই
  • বাজেটে সরকারের পথনকশা অনুপস্থিত

    ড. জাহিদ হোসেন; বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা করেছেন বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও পোল্যান্ডে। বাংলাদেশের ব্যাংক খাত, উন্নয়ননীতি পর্যালোচনাসহ বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও বৈশ্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন কালবেলা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষিত হলো। কেমন দেখলেন? ড. জাহিদ হোসেন: সার্বিকভাবে বাজেটকে যদি মুদ্রা হিসেবে দেখা যায়, তাহলে এর দুটো দিক
    খায়রুল আনোয়ার
    খায়রুল আনোয়ারসিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক

    রাজনীতিতে ঢাক ঢাক গুড় গুড়

    দেশ এক কঠিন সময় পার করছে। প্রকাশ্যে ও পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে চলেছে। নানা গুঞ্জন-জল্পনা ডালপালা মেলছে। সন্ধ্যার পর উপদেষ্টাপাড়ায় কোনো কোনো উপদেষ্টার বাসভবনে গুজুর-গুজুর, ফুসুর-ফুসুর চলে। গোপন বিষয়টি আর গোপন নেই। এ নিয়ে টিভি টকশো ও সামাজিকমাধ্যমে এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে। গত ২১ মে থেকে চার দিন ঘটনাবহুল সময় অতিবাহিত হয়। বিরাজ করে এক অস্বস্তিকর অবস্থা। স্বৈরাচারী লীগ সরকারের পতনের পর চার দিন সরকারবিহীন দেশেও এ পরিস্থিতি ছিল না। সেনাপ্রধানের বক্তব্য, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনা, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক, কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সরকারের বিবৃতি পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের দিন প্রধান উপদেষ্টার

    হিতাহিতজ্ঞানশূন্য

    অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক হলেও সত্য যে, দেশে উন্নয়ন প্রকল্প মানেই জোচ্চুরি, অর্থ আত্মসাৎ, অসাধু সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা! ওপেন সিক্রেট। অর্থাৎ সবাই মনে করেন, সরকারি যে কোনো প্রকল্প মানেই এর বড় একটি অংশের টাকা প্রকল্পের মূল কাজের বাইরে স্বার্থান্বেষীদের পকেটে চলে যাবে। অগ্রহণযোগ্য হলেও এটা এক ধরনের গা-সওয়া বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ ধরনের কিছু ঘটনা মানুষকে ভাবায়, বিচলিত করে। প্রশ্ন জাগায়, মানুষের নৈতিক স্খলন আসলে কোন পর্যায়ে পৌঁছলে মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসাসামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রেও এ জোচ্চুরি করতে হয়! আর অর্থলোপাটের এ বদনেশা কতটা আসক্তি তৈরি করলে, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করবে যে
  1. 1
  2. 2
  3. 3
  • ২৭ মে ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
    সচিবালয়ে বিক্ষোভকারীদের চাকরিচ্যুতির দাবি জানাচ্ছেন অনেকে। আপনি কি মনে করেন?

    সচিবালয়ে বিক্ষোভকারীদের চাকরিচ্যুতির দাবি জানাচ্ছেন অনেকে। আপনি কি মনে করেন?

    • চাকরিচ্যুত করা উচিত
    • চাকরিচ্যুত করা উচিত না
    9
    +
    5
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ৮৯,৮৯০ জন
    মোট ভোটারঃ ৮৯,৮৯০
    ভোট দিন
    19.2k Shares
    facebook sharing button
    messenger sharing button
    whatsapp sharing button
    twitter sharing button
    linkedin sharing button
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’

অজানা ৮ লক্ষণ, নীরবে জানান দেয় লিভার ক্যানসার

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রেস সচিব

লন্ডন যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা

বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

২৭ টাকার ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়!

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৭ কিলোমিটার যানজট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

১০

আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, আজ পবিত্র হজ

১১

খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাড়ির কাগজ পৌঁছে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা

১২

ফিরতি ঈদযাত্রায় আজ শেষ দিনের টিকিট বিক্রি

১৩

টিভিতে আজকের খেলা

১৪

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৫

০৫ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

সেই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত

১৭

০৫ জুন : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ

১৯

যে নফল রোজা মুছে দেয় দুই বছরের গুনাহ

২০
জমজমাট ঈদ রাজনীতি এলাকামুখী নেতারা
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে বরাবরই বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাদে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের
এক মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলে খরচা ১৮ ফ্ল্যাট
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যেমন বহু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, আবার প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও সরকারঘনিষ্ঠদের রোষে পড়ে ‘ভুয়া’ হয়ে গেছেন। তবে সব ছাপিয়ে তুঘলকি কাণ্ডটি ঘটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
প্রতারক রনি এখনো দাপটে
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের ছাবেদুল ইসলাম। তার ডাক নাম রনি। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। এক সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার
কোরবানির পশু কিনতে যা দেখবেন
কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট পশু জরুরি। কোরবানির জন্য গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু হতে হবে; যেমন— গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া কিংবা দুম্বা ইত্যাদি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিশেষ রীতি
ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দিন দিন ঢাকার বাতাস দূষিত হয়ে উঠছে। চলতি বছরের শুরুতেই টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়। ১৭৬ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের শহর ‘দিল্লি’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। একই সময়ে ১৭৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেনেগালের শহর ‘ডাকার’। এদিকে ১৭০ স্কোর নিয়ে অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী ‘বাগদাদ’। আর ৭৯ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় ২৬তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ‘ঢাকা’। আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৯ মিনিট আগে

ফিরতি ঈদযাত্রায় আজ শেষ দিনের টিকিট বিক্রি

২ ঘণ্টা আগে

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে

জর্ডান সফর নিয়ে বিতর্ক, সিদ্ধান্ত বদলাল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়

৮ ঘণ্টা আগে

বিশ্ব পরিবেশ দিবস / সারাদেশে বৃক্ষরোপণ ও প্লাস্টিক দূষণবিরোধী জনসংযোগ করবে ৬৪ সংগঠন

১১ ঘণ্টা আগে

বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুর্যোগ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ফেনাকোর

১২ ঘণ্টা আগে
লন্ডন যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা
লন্ডন যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা
পরিবারের সঙ্গে এক মাস ব্যস্ত সময় কাটিয়ে আজ লন্ডন ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সেখানেই স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন যাবেন তিনি। এরই মধ্যে গুলশানের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে আসেন জুবাইদা রহমান। গত ৬ মে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতার রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। লন্ডনে স্থানীয় সময় ৫ মে দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন হিথ্রো বিমানবন্দরে।  ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সেই সাজা স্থগিত করা হয়। প্রসঙ্গত, ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিন বিভাগে বিদ্যায়ন করে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক নিয়ে এমএসসি করেছেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেওয়ার আগে ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে ডা. জুবাইদার বিয়ে হয়। তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা দম্পতির জায়মা রহমান নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। যিনি যুক্তরাজ্যে বার-এট ল’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এবং মা-বাবার সঙ্গে সেখানেই থাকছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঈদকে ‘নির্বাচন প্রস্তুতি’ হিসেবে কাজে লাগাতে নির্দেশনা বিএনপির
ঈদকে ‘নির্বাচন প্রস্তুতি’ হিসেবে কাজে লাগাতে নির্দেশনা বিএনপির
ঈদ করছেন কোথায় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা?
ঈদ করছেন কোথায় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা?
বাজেট শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান
বাজেট শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান
ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করার মতো বাজেট : আমিনুল হক 
ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করার মতো বাজেট : আমিনুল হক 
বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ নেই : লায়ন ফারুক
বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ নেই : লায়ন ফারুক
বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

২৭ টাকার ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়!

পোলট্রি শিল্পে ব্রয়লারের বাচ্চার দামে ধস নেমেছে। এক মাস আগে যে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ২৭ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায়! এতে করে বিপাকে পড়েছেন ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারীরা।  জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এক মাস আগে একদিন বয়সী একটি ব্রয়লার বাচ্চা ২৭ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেই দাম কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ থেকে ৫ টাকার মধ্যে। এই দরপতন অব্যাহত রয়েছে গত দুই সপ্তাহ ধরে। করিমগঞ্জ থানার তরুণ খামারি সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, এক মাস আগে প্রতি পিস ২৭ টাকা দরে ১ হাজার ২০০টি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা তুলেছিলেন খামারের শেডে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বাজারে বাচ্চার দাম কমে এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩-৫ টাকায়। বাচ্চার দামে এই ধসের প্রভাব পড়েছে পূর্ণবয়স্ক ব্রয়লার মুরগির বাজারেও। বর্তমানে খামারিদের বিক্রয়মূল্য উৎপাদন খরচের নিচে নেমে যাওয়ায় সাদ্দামসহ অনেক খামারি পড়েছেন শঙ্কার মুখে।  সরকার নির্ধারিত হিসেবে একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ পড়ে প্রায় ৫৭ টাকা। কিন্তু গত দুই মাস ধরে হ্যাচারি মালিকরা বাচ্চাগুলো ১০ টাকা পর্যন্ত লোকসানে বিক্রি করে আসছেন। বর্তমানে এই লোকসান আরও বেড়ে গেছে- বাচ্চা বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম দামে, ফলে হ্যাচারিগুলো বিপাকে পড়েছে। মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে জড়িত উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) জানিয়েছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বাচ্চা উৎপাদন হওয়ায় এর দাম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। মানুষের আয় হ্রাস, ৫ আগস্টের পর বহু কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিকদের চাকরি হারানো এবং চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের চাহিদা ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে। ফলে লোকসানের শঙ্কায় অনেক খামারিই সীমিত পরিসরে মুরগি পালন করছেন। তারা বলছেন, অন্যদিকে বাচ্চার উৎপাদন থেমে না থাকায় বাজারে সরবরাহ বাড়ছে, অথচ চাহিদা নেই। এ অবস্থায় হ্যাচারিগুলো প্রচণ্ড লোকসানে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক হ্যাচারি কার্যক্রম বন্ধ করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিএবি’র তথ্য অনুযায়ী, চলাতি বছরের এপ্রিল মাসে ব্রয়লার বাচ্চা গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও, মে মাসে এই দাম নেমে এসেছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। অন্যদিকে, মে মাসে লেয়ার বাচ্চা গড়ে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৭ টাকায়। কালার জাতের বাচ্চার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে দামের বড় ধস। এপ্রিল মাসে প্রতি বাচ্চা গড়ে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও মে মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকায়। ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে খামারি- সব পর্যায়েই এখন লোকসান চলছে। এই পরিস্থিতিকে তিনি ‘একটি বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বাচ্চার চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদন এই সংকটের একটি বড় কারণ। তবে এর বাইরে মানুষের আয় কমে যাওয়া এবং গার্মেন্টস শিল্পে কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে নির্দিষ্ট অঞ্চল, বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা আরও কমে গেছে। এসব মিলিয়ে বাজারে একটি বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রাতিষ্ঠানিক খামারিদের মধ্যে অন্যতম কাজী ফার্মস, যারা ডিম ও মুরগির বাচ্চা- উভয়ই উৎপাদন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, এক দিনের মুরগির বাচ্চার দাম সরাসরি ব্রয়লার মুরগির বাজারদরের ওপর নির্ভর করে। ব্রয়লারের দাম কমে গেলে খামারিরা বাচ্চা কিনতে আগ্রহ হারান, ফলে বাচ্চার দামও পড়ে যায়। আবার যখন ব্রয়লারের বাজারদর বাড়ে, তখন খামারিরা বাচ্চা কিনতে আগ্রহী হন, ফলে চাহিদা বাড়ে এবং দামও বেড়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, এই ওঠানামা প্রাকৃতিক না হয়ে বরং বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়। 

মানুষের হাতে নগদ টাকা আবারো বাড়ছে

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে ব্যাংক খাতের উপর মানুষের আস্থার সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ব্যাংকে রাখা তুলে নিয়ে বাসায় রাখতেন।  এতে করে ব্যাংকগুলোতে দেখা দেয় চরম তারল্য সংকট। এমন অবস্থায় ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। কিন্তু এতেও কাজে আসেনি। প্রতি মাসেই বাড়ছিল মানুষের হাতে নগদ টাকা তথা ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত মানুষের হাতে নগদ টাকা বা ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল।  তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর ব্যাংক খাতের উপর মানুষের আস্থা পুনরায় বাড়তে থাকে। পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে মানুষের হাতে রাখা টাকা। যেটার ধারাবাহিকতা চলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরের মাস মার্চে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ আবার বেড়েছে।  অর্থাৎ ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা বেশি তুলে নিয়েছে।  সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৩৬ কোটি।  বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  ব্যাংকাররা বলছেন, মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুুলে নেওয়ার পর যা আর ব্যাংকে ফেরত আসে না, তা-ই ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকা হিসেবে পরিচিত। মূলত মার্চ মাসে ঈদুল আজহার সময় মানুষ টাকা বেশি তুলেছেন। ধীরে ধীরে এসব অর্থ ফের ব্যাংকে ফিরবে বলেও জানান তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই মানুষের হাতে নগদ বা ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ কমতে থাকে। গত বছরের আগস্টে মানুষের হাতে বা ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।  আর পরের মাস সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ, পরের মাস অক্টোবরে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি ৭ লাখ, পরের মাস নভেম্বরে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৬ কোটি ৭ লাখ, পরের মাস ডিসেম্বরে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি ৫ লাখ, চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি ৯ লাখ এবং ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭১ হাজার৪৯৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।  আর চলতি বছরের মার্চে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি ৬ লাখ টাকা। তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক কমছিল ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ। কিন্তু নভেম্বর থেকে আবার বাড়তে শুরু করে। যেটা গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। পরের মাস নভেম্বরে সেটা বেড়ে দাড়ায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি, জানুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি ও আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ দশ মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ৪৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।  খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের খরচ বেশি হয়। এজন্য বাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখে। তারপর ব্যাংক খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে কিছু ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থায়ও নষ্ট হয়েছিল। মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছিল। এখন আস্থায় ফেরায় মানুষ আবার ব্যাংকে টাকা রাখছে।  এদিকে, মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে মুদ্রা সরবরাহ’র পরিমাণও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতে ছাপানো টাকার স্থিতি (রিজার্ভ মানি) ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর পরের মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ২৮ হাজার ১৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির বিবৃতি / ওষুধের কাচামাল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি শিল্পের জন্য ইতিবাচক

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশের ঔষধ শিল্প আরও শক্তিশালী হবে।   বুধবার (৪ জুন) সমিতির সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঔষধের এপিআই শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রস্তাব করায় ঔষধের এপিআই শিল্প আরও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে অতি উচ্চমূল্যের ক্যান্সার নিরোধী ঔষধসমূহ বাজারজাত করার পথ সুপ্রশস্ত হবে। দেশে ৯০ শতাংশ এপিআই আমদানি হয়ে থাকে।  এই আমদানীকৃত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এপিআই শিল্পের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিকল্পে এই শুল্কনীতি সাহায্য করবে। একই সাথে দেশেই বহু এপিআই তৈরি হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। ফলে ক্যান্সার নিরোধী সমস্ত ঔষধের মূল্যের স্থিতিশীলতা দাঁড়াবে এবং প্রাপ্যতা বাড়বে। সাধারণ জনগণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি ও মানের ঔষধ সবসময় প্রাপ্তির বিপুল নিশ্চয়তা দেশেই তৈরি হবে। আমরা আশা করি ঔষধ শিল্প শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণই নয়, আরও কিছু প্রণোদনা পেলে অন্যতম রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ঔষধ শিল্পের বিনিয়োগে ব্যবহৃত স্যান্ডউইচপ্যানেল ও ল্যাবরেটরি ফার্নিচার সমূহে এখনও উচ্চ শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। অথচ আগে এটি মাত্র ১ শতাংশ হারে ছিল। আমরা আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্টরা এখানে বাড়তি নজর দিবেন এবং নতুন ঔষধ শিল্পের জন্য প্যানেলের ক্ষেত্রে এই শুল্ক পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসবে।  বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ঔষধ শিল্প সমিতি জানায়, চিকিৎসা ব্যবস্থায় উপরোক্ত সুযোগটি সম্প্রসারণ করায় দেশের রোগীদের অনেক উপকার হবে। এছাড়া এবারের বাজেটে সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক ভেহিক্যালকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি।  বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি মনে করে, সরকার এবারের বাজেটে যে সমস্ত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে সেটি সাধুবাদযোগ্য। তবে যারা এই ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করবেন বিশেষত রাজস্ব বোর্ড এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাদেরকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ও আন্তরিক হতে হবে। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া উপরোক্ত সুবিধাসমূহের পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা এবং চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে। সর্বশেষ অর্থবছরে ননলিস্টেড কোম্পানিসমূহের জন্য সর্বনিম্ন ট্যাক্সের হার ছিল ২৫ শতাংশ যা এই বাজেটে বৃদ্ধি করে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্ত সর্বক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রায় সমস্ত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি একটি প্রতিকূল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।  এই সময়ে কর্পোারেট ট্যাক্সের হারের এই বৃদ্ধি ননলিস্টেড ফার্মা কোম্পানির ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা তৈরি করবে। এমতাবস্থায় কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২৫ শতাংশ রাখার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে ট্যাক্স ফ্রি লিমিট বাড়ানো হয়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত পরিবর্তনের কারণে  শিল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমে যাবে। বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন করা গেল।   সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে কোম্পানিসমূহের জন্য ন্যূনতম কর্পোরেট ট্যাক্সের পরিমাণ মোট বিক্রয় আয়ের ওপর ১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে যা পূর্বে ০ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। যেহেতু অধিকাংশ ফার্মা কোম্পানি এখন মুনাফা করতে হিমশিম খাচ্ছে সেহেতু ন্যূনতম ট্যাক্সের এই বৃদ্ধি ফার্মা কোম্পানিসমূহের সক্ষমতাকে প্রবলভাবে হ্রাস করবে।  মুনাফা না করলে এই ট্যাক্স কোম্পানিসমূহকে তাদের মূলধন থেকে প্রদান করতে হবে- যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম ট্যাক্সের হার পূর্বের জায়গায় রাখার আবেদন করা গেল।
১১ ঘণ্টা আগে
ওষুধের কাচামাল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি শিল্পের জন্য ইতিবাচক

আমবাজার ঘিরে শনিবারও খোলা যেসব এলাকার ব্যাংক

চলতি আমের মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের আমবাজার সংলগ্ন ব্যাংকের শাখাগুলো আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতি শনিবার (ঈদের দিন ব্যতীত) সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি আমের মৌসুমে বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ (শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা), নওগাঁ (সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা), রাজশাহী ও নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে স্থায়ীও অস্থায়ী আমের বাজার। এসব বাজার সংলগ্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে নগদ অর্থের পর্যাপ্ত সরবরাহ বা জমা নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ সংরক্ষণজনিত ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন প্রতি শনিবার (ঈদের দিন ব্যতীত) পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যাংকের স্বীয় বিবেচনায় সীমিত পরিসরে ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমবাজার ঘিরে শনিবারও খোলা যেসব এলাকার ব্যাংক

চার সপ্তাহ পর বিশ্ববাজারে কমল সোনার দাম

বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমেছে। প্রায় চার সপ্তাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর বুধবার (৪ জুন) সকালে দুবাইয়ে মূল্যবান ধাতুটির দাম কিছুটা কমেছে। মার্কিন ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে বিনিয়োগকারীরা সোনাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন। এবার এ নিয়ে চলমান ওঠা-নামার কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করলেন মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে খালিজ টাইমস। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে ৪০৪.৫ দিরহাম, যা মঙ্গলবারের ৪০৬ দিরহামের থেকে কিছুটা কম। মঙ্গলবার সোনার দাম ১০ দিরহাম বাড়িয়ে প্রায় চার সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। একই সঙ্গে ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার দামও যথাক্রমে ৩৭৪.৫, ৩৫৫ ও ৩০৭.৭৫ দিরহামে নেমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের মূল্য স্থিতিশীল ছিল ৩ হাজার ৩৫৪.৫৯ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্সে, যা সামান্য ০.০৭ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন ও চীনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এমইএনএর সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক রানিয়া গুলে বলেন, ‘সোনার দাম এখন বেশ ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার দাম ৩ হাজার ৪০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সামান্য কমেছে। তবে এটি সাময়িক বিরতি মাত্র, যা দীর্ঘমেয়াদি তেজি প্রবণতায় কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তনগুলো সোনাকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে রূপ দিয়েছে। এই দামের সামান্য পতন মধ্যমেয়াদকাল ধরে কেনার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে বাড়ানোর ঘোষণা নতুন বাজার উদ্বেগের কারণ হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা আবারও জাগ্রত হয়েছে। রানিয়া গুলে যোগ করেন, ‘বাজার শুধু পরিসংখ্যানের প্রতি নয়, রাজনৈতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ায়ও প্রভাবিত হচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই সোনার নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে চাহিদা বাড়ছে, যদিও মার্কিন ডলারের ওঠানামার কারণে দাম সাময়িক কমতে পারে।’
১৫ ঘণ্টা আগে
চার সপ্তাহ পর বিশ্ববাজারে কমল সোনার দাম
বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৭ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৭ কিলোমিটার যানজট
ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
সেই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত
সেই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত
আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পাঠাগারে বই দিলেন ইসলামপুর ইউএনও
আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পাঠাগারে বই দিলেন ইসলামপুর ইউএনও
কেজিতে ৭৫ পয়সা ঘুষ নেওয়া সেই খাদ্য কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ
কেজিতে ৭৫ পয়সা ঘুষ নেওয়া সেই খাদ্য কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ
খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ
খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুর্যোগ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ফেনাকোর
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুর্যোগ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ফেনাকোর
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
.

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া অন্য সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তিনি।  বুধবার (৪ জুন) এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি তা কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। নিষিদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ট্রাম্প তার আদেশে বলেছেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এই আদেশটি সোমবার (৯ জুন) ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় রাত ১২:০১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে। আদেশে বলা হয়েছে, এই তারিখের আগে ইস্যু করা ভিসাগুলো বাতিল করা হবে না। হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, কলোরাডোর বোল্ডারে একটি ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করে যথাযথভাবে যাচাই না করা বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ফলে আমাদের দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের জন্য চরম বিপদে আমরা। তিনি দাবি করেন, আমাদের দেশে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের এখানে থাকা উচিত নয়। আমরা ইউরোপে যা ঘটেছে তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না। খুব সহজভাবে যেসব দেশ থেকে আমরা নিরাপদে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে প্রবেশকারীদের যাচাই করতে পারি না, সেসব দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসন আমরা অনুমতি দিতে পারি না। তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব না। ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সাতটি প্রধানত মুসলিম দেশ- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন তার নির্বাহী আদেশ জারি করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া তার নীতির বিরুদ্ধাচারণ করা দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। অভিবাসন বিতাড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু সব সমালোচনা পেছনে ঠেলে ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছেন। 
নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ
নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ
পাকিস্তানে যৌথ অভিযানে খতম ১৪ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট’ সন্ত্রাসী
পাকিস্তানে যৌথ অভিযানে খতম ১৪ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট’ সন্ত্রাসী
ঘোড়ায় চড়ে ৭ মাসে মক্কায়, তিন স্প্যানিশের হজযাত্রা
ঘোড়ায় চড়ে ৭ মাসে মক্কায়, তিন স্প্যানিশের হজযাত্রা
কারাগারে অপরাধীদের জন্য ভাড়া করা হলো ৪০০ সেল
কারাগারে অপরাধীদের জন্য ভাড়া করা হলো ৪০০ সেল
মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি
নারীর বাড়িতে মিলল ১০০ বিড়ালের মরদেহ
নারীর বাড়িতে মিলল ১০০ বিড়ালের মরদেহ
সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ইনসাফ’
সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ইনসাফ’
ওটিটিতে শাকিব, নিশো, সিয়াম ও মোশাররফ 
ওটিটিতে শাকিব, নিশো, সিয়াম ও মোশাররফ 
ঈদে আসছে রফিক সাদীর গান ‘টুয়েন্টি ইয়ার্স’ 
ঈদে আসছে রফিক সাদীর গান ‘টুয়েন্টি ইয়ার্স’ 
ঈদের ছবি ‘টগর’র মুক্তিতে বাধা নেই
ঈদের ছবি ‘টগর’র মুক্তিতে বাধা নেই
মুক্তিতে বাধা নেই ‘তাণ্ডব’ সিনেমার
মুক্তিতে বাধা নেই ‘তাণ্ডব’ সিনেমার
ইকবাল খন্দকারের উপস্থাপনায় ‘ঈদের ছবি’
ইকবাল খন্দকারের উপস্থাপনায় ‘ঈদের ছবি’
শাকিব-নিশোর কাঁধে কাঁধ, বিস্ফোরক মন্তব্য জয়ের
শাকিব-নিশোর কাঁধে কাঁধ, বিস্ফোরক মন্তব্য জয়ের
রোনালদোর গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল
রোনালদোর গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল
ঘরের মাঠে অভিষেকেই গোল করে যা বললেন হামজা
ঘরের মাঠে অভিষেকেই গোল করে যা বললেন হামজা
টিভিতে আজকের খেলা
টিভিতে আজকের খেলা
আজ উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ফ্রান্স। এ ছাড়াও রয়েছে ফ্রেঞ্চ ওপেনে মেয়েদের দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক টিভিতে আজকের খেলাসূচি। ফ্রেঞ্চ ওপেন : নারী সেমিফাইনাল সাবালেঙ্কা-সিওনতেক সন্ধ্যা ৭টা, সনি স্পোর্টস ১, ২ বোয়াসোঁ-গফ প্রথম ম্যাচের পর, সনি স্পোর্টস ১, ২ উয়েফা নেশনস লিগ স্পেন-ফ্রান্স রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৫
হামজার গোলে সন্তুষ্ট ক্যাবরেরা
হামজার গোলে সন্তুষ্ট ক্যাবরেরা
দুই বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন এবাদতের
দুই বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন এবাদতের
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
'+